কামরুল হুদা পথিক-সাহিত্যের
বুহুমাত্রিক অবস্থানে ভয়াল নিষ্প্রাণ অশুরের মাঝে তিনি এক সৃষ্টিশীল বেহালাবাদক। গদ্য
লিখেছেন, গল্প লিখেছেন নতুন ধারা বিষয় আঙ্গিক ও স্থাপত্যের, সম্পাদনা করেছেন সাহিত্যের
গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ছোটকাগজ ‘দ্রষ্টব্য’ ও ‘করাতকল’। অজস্র কবিতা নির্মাণে
তিনি প্রকাশ ঘটিয়েছেন তার অস্তিত্বের পূর্ণরূপ। সে কারনে প্রকাশিত হয়েছে ‘মাতাল শহরের
গল্প’, যা ‘সিল্কের শহর ও মাতাল শহরের গল্প’ খণ্ডিত দুই অংশ পরিপূর্ণ রূপে পাঠককে গোগ্রাসে
গিলে খাবে এটা বলার দুঃসাহস রাখে। বোল চাল নির্ভর বাজারী সুড়সুড়ি দেবার কবিতা নামের
যে পণ্য বাজারে সয়লাব-তার বিপরীতে কামরুল হুদা পথিক নির্মাণ করেছেন আত্মজিজ্ঞাসা-ছড়িয়ে
ছিটিয়ে থাকা জীবনের কান্না-বোধ-সংকটের সুরোতহাল। প্রতিনিয়ত নিজেকে চেরাই করে উৎপাদন
করেছেন ‘মাতাল শহরের গল্প’ কবিতা বইয়ের প্রতিটি কবিতা, ভাষার শরীর। ধ্যানের খোলস ভেঙে
তিনি খুঁজেছেন এক অচ্ছুৎ কদাকার রোগাক্লিষ্ট খণ্ডিত নৃ-গোষ্ঠি, যার জানতে হয়না তার
পিতৃপুরুষের নামাবলি ইতিবৃত্ত ও বিস্তার। এই অপ্রথাগত ও মনস্তাত্ত্বিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার
নিরীক্ষণ শিল্পরূপে এনেছেন সম্ভ্রান্ত পাঠকের সামনে।
স্বনামে
দণ্ডায়মান এই কবিপুরুষ চিরকাল তার সৃষ্টির প্রতি আত্মনিবেদিত। কামরুল হুদা পথিক এর
‘মাতাল শহরের গল্প’ খণ্ডিত অংশে ২৫টি কবিতার চিত্রায়নে নির্মিত শহরের অবক্ষয় আর তিলোত্তমা
নগরের আবর্জনা হরিজন। কবির প্রতিটি কবিতাই প্রথাগত জীবনের খণ্ডিত অংশের ভিজ্যুয়ালাইজেশন।
ロ শাফি সমুদ্র
ロ শাফি সমুদ্র