মৃত্যুর মুখোশ - শাফি সমুদ্র

সর্বশেষ লেখা

Home Top Ad

প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা কোনো ফ্যাশেনবল বিষয় নয়, যা দিয়ে আপনি নিজের পাছায় একটা সীলমোহর লাগিয়ে ঘুরে বেড়াবেন...

সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩

মৃত্যুর মুখোশ





হয়তো এই কারণে নদীজল

ভুলে যায় গাছের বেদনা

হয়তো এই কারণে পাখিগুলো

আকাশ থেকে পথ ভুলে

চলে যায় অন্য কোনো আকাশে

মানুষের কি খুব বেশি অতীত থাকে

ঘুমিয়ে থাকা সূর্যের আক্ষেপ নিয়ে

দূরে হারিয়ে যায় বুনোপাখিদের শৈশব

মানুষের ভেতরে মানুষ প্রাচীন শিলাস্তরের বিশ্বাসে

অগ্নিকুন্ডে ঝাঁপ দিয়ে খোঁজে নীল বেদনার নাম

 

আজীবন পাখিদের দুরভিগম্য সংসার থেকে

রোদের আয়ু মেপে মেপে বসতি ভাঙে

হলুদ পাতার নিঃশ্বাস-বিস্তীর্ণ পরিভ্রমণ শেষে

পাখির পালকে গেঁথে থাকে অচ্ছুৎ অন্ধকার

আমাদের মাথার উপর মেঘমালার দুরভিসন্ধি

সূর্যের ক্ষতবিক্ষত রোদের কঙ্কাল আর

বাতাসের ভেতরে ক্রমাগত হেঁটে যায় 

ভাষা বেদনার নির্মম নিয়মকানুন

             ফলবতি বৃক্ষ আমার

             শস্যভরা ক্ষেত আমার

             নদীমাতা প্রাণ আমার

ভূ-ভাগে অজস্র প্রেম জাগাও বাউলের চোখে

সমতলে বেঁচে থাকা রাষ্ট্রপুঞ্জে ওড়াও রূপালি কবুতর

ঘাসের গণতান্ত্রিক জীবন ভেদ করে প্রজ্জ্বলিত সন্ধ্যায়

যে নৈঃশব্দ্যের গভীরে এঁকে দেয় লণ্ঠনের কান্না

সে সন্ধ্যায় জাগ্রত করো পবিত্র ধর্মশালা

 

আহা জলাভূমির স্বপ্নভূক নীলজল-

বিশৃঙ্খল জীবনে ধেয়ে আসে মর্মঘাতি শীতের শাস্ত্র

কোমল শান্ত শরীর ছুঁয়ে এক উম্মাদ কৃষ্ণরঙ

সর্বগ্রাসী সভ্যতার অন্ধকারে ডুবে যেতে যেতে

অশ্রাব্য সময়ের মুখোমুখি গলিত লাশের বেদনার্ত চোখ

পাখির ঠোঁটে ভেসে আসে বিগলিত নিদ্রার গান

তৃণভূমি ছেড়ে সদ্য বেড়ে ওঠা প্রেমিকের মন ভেঙে

একদল হরিণেরা ছুটে বেড়ায় বিমর্ষ নদীর অববাহিকায়

অগণিত স্বপ্নের খোলসে জন্ম নেয় যে বৃক্ষশিশু

তার পরিচয়লিপিতে লেখা বিগত শতাব্দীর ইশ্তেহার

প্রচলিত ভাগ্যের অভিমুখে নিহত বৃক্ষের শোক থেকে

আমরা খুঁজি পাপ প্রণয়ের নিশ্চল বনভূমি

 

হে অভিশপ্ত কান্নার বৃক্ষভূমি

হে বনদুর্গা বিশালাক্ষী বনবিবি

হে বনবিনাশী দক্ষিণ রায়

হে বাবা ত্রাতা গাজীপীর

 

ওঁ কালাভ্রাভাং কটাক্ষৈররিকুলভয়দাং মৌলীবন্ধেন্দুরেখাম্।

শঙ্খং চক্রং কৃপাণং ত্রিশিখমপি করৈরুদ্বহন্তীং ত্রিনেত্রাম্।

সিংহাস্কন্ধাধিরুঢাং ত্রিভুবনমখিলং তেজসা পুরয়ন্তীম্।

ধ্যায়েদ্ দুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশপরিবৃতাং সেবিতাং সিদ্ধিকামৈঃ

 

সূর্যের প্রতিফলিত আলোকধ্যানে শঙ্কিত জীবন

তোমার পায়ের কাছে নেচে ওঠে হে বনচণ্ডী

বীভৎস বেদনার ভেতরে আমাদের মলিন মুখ

ভেসে যায় জলজ্যান্ত অভিশাপের প্রত্ন-প্রস্তরকালে

শীতল শান্ত রক্তের ভেতরে বিগত স্বপ্ন দ্রবীভূত

আমাদের পায়ে পায়ে হেঁটে বেড়ায় মর্মান্তিক

দুরভিসন্ধির শিলালিপি আর অজ্ঞাত হরিণের দীর্ঘশ্বাসে

ক্রমাগত শুকিয়ে যায় এক প্রাচীন নদীর অন্তর্গত ইতিহাস

আমরা কেবলই বিনাশের প্রবল স্রোতে

হারিয়ে ফেলি তীরবর্তী আগুনের সম্ভ্রম-বুক ভেদ করে

ছুটে আসা অজস্র মিথ্যার সরীসৃপ   

 

তাত্ত্বিক জ্ঞানে যে নদীপ্রবাহ দিক বদলায়

তৃষ্ণার চোখে সে নদী অবগাহনকালে উদ্বেলিত নৃত্যে

নৈকট্যের শেষ চিহ্ন এঁকে যায় জলের ঘ্রাণে

প্রতারিত ধ্যান ছেড়ে শ্বাসমূলে গেঁথে থাকো বিশ্বাসের রক্তবীজ

মাটির সৌর্হাদ্য থেকে যে শিশুবৃক্ষ মাথা তুলে শূন্য সঙ্গীর

বিবর্ণ মুখ মনে রাখে-কী ভীষণ শূন্য হয়ে যায় সুন্দরবন

কী ভীষণ একাকী ডুকরে ওঠে নৈরাশ্যের বনাঞ্চল 

 

মানুষ কি তবে মিথ্যা জন্মের আকাঙ্ক্ষায় দীর্ঘজীবি হয়

মানুষ কি তবে নিজের আঙুলের প্রতিবেদনায় ব্যাথিত

মানুষ কি তবে মানুষের প্রতিপক্ষে সূর্যের সাথে সংঘটিত

দহনকাল ভুলে পুনরুত্থিত দ্রোহের আগুনে পুড়তে থাকে

অতিক্রান্ত বায়ুর ছদ্মবেশী আর নৃশংস মিছিলে যখন

গর্জে ওঠে অজস্র বাওয়ালীর চিৎকার-তখন কি মানুষ

ভুলে যায় অরণ্যের নিষ্প্রাণ অভিমান-সংরক্ষিত যুদ্ধের

পরিত্রাণ চেয়ে কেঁদেছিলো কি সমন্বিত দৃশ্যের ভেতরে

 

আকাশটা ক্রমশ নিচু হতে হতে হরিণের চোখে আটকে যাচ্ছে

জল বিষাক্ত হতে হতে কুমিরে পেটে ঢুকে যাচ্ছে একেকটা নদী

শালপাতার আর্তনাদে স্তব্ধতা ভাঙে হৃদয়ের গহীনে

উদভ্রান্ত উম্মাদের মতো কেবলই ছুটে চলে অসহায় বুনোশুকর

আর অবারিত শিল্পায়নে লোনা মাটির বুক খোদাই করে

বহুজাতিক দুর্বৃত্ত-তেজস্ক্রিয় বাতাসের অতলস্পর্শে

আমরা ঘুমিয়ে যাই

                      আমরা বোবা হয়ে যাই

                                              আমরা অরণ্যহীন হয়ে যাই

                                                                আমরা পাখির বেদনায় ম্লান হয়ে যাই

উম্মাদের মতো একদল সরীসৃপের দলে হেঁটে যেতে যেতে

বিচ্ছিন্ন উপত্যকায় এই রক্তের ক্ষেত ছুঁয়ে আমরা

অজস্র মৃত্যুমুখি ম্যানগ্রোভের কান্নায় লুট হয়ে যাই

মৃত্যুর মুক্তাঞ্চল ঘিরে ধেই ধেই করে নেচে ওঠে

পুঁজিতন্ত্রের বেসাতি-সূর্যের অন্তিম আয়ুষ্কাল থেকে

বিচ্ছুরিত অনুজ্জ্বল রক্তমাখা সন্ধ্যা আমাদেরকে শোনায়

মর্মাহত পাখির গোপন ইশ্তেহার পরিপাটি যন্ত্রণার খন্ডচিত্র

 

পুঁজি পাপের প্রাচীরে ঝুলে থাকা ভাগ্যের ক্রিয়াকৌশল

অসভ্যর মতো ঘিরে রাখে ক্ষতবিক্ষত শরীর স্বর্বস্ব ছায়া

সুশোভিত বিশ্বাসে আবহমানকাল জুড়ে শীতের সকাল

চৌর্যবৃত্তির উপঢৌকন নিয়ে ফিরে আসে ধ্রুপদী জীবনযাপনে

শাসকের বিধিমালায় নিরীহ গ্রামের উর্বর শস্যক্ষেতের বেদখলে

চৈতন্য শূন্য সূর্য দুরারোগ্য ভোরে চুক্তিবদ্ধ

দুর্গত নিঃশ্বাসে অবাধ্য শরীর বারবার ফিরে আসে

 

এইসব দৃশ্যমান

এইসব দোদুল্যমান

এইসব ম্রিয়মান

 

এইসব বিষয় থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে সহজাত মৃত্যুর অধিক

বিমুঢ় হয়ে থাকা নিষ্পাপ বৃক্ষের বাকলে চেয়েছি নির্বাসন

মৃতপাখির নির্ভেজাল অভিশাপে বেড়ে ওঠে সন্ধ্যার সান্নিধ্যে

পরম্পরায় এমন গভীর বেদনাস্পর্শী জীবনাপোলব্ধ জেগে থাকে

রক্তের ভেতরে-কিভাবে এতো সহজে নির্বিচারে লুট হয়ে যায়

সূর্য রাঙানো সকালÑমানুষের ছায়াপথে কিভাবে বেজে ওঠে

দস্যুদের হুইসেল-বহুমুখি অন্ধাকারের শেষ শ্লোগানে

বিগলিত চোখ থেকে নেমে যায় পরিবেশবাদীদের দৃষ্টি ভ্রম

সক্রিয় চৈতন্যের ঝাঁপি খুলে বেরিয়ে আসে একেকটি কালকেউটে

মৃত্যুর প্রলোভনে বহির্ভূত বিশ্বাসে পালিয়ে যায় প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্য

শান্তির সম্ভ্রমে দুর্বৃত্তর বাজারে ওঁৎপেতে থাকে আগুনের শরীর

অবলীলায় অর্থনীতির চাকায় পিষ্ট হতে থাকে নিপীড়িত পান্ডুলিপি

 

অস্পৃশ্য ছায়ায় আমরা তাকিয়ে থাকি বিশ্বব্যাংকের উলঙ্গ নৃত্যে

বহিরাগত উৎপাতে মাছেদের সংকটময় জীবনের কোনো মানে থাকে না

জীব বৈচিত্র্যতার শৃঙ্খল জীবনে নেমে আসা অনিশ্চয়তায়

আমাদের কোনো প্রতিপক্ষ থাকেনা-শত্রুমিত্র ভুলে খুব সহজে

আমরা গাঁথতে থাকি সবুজ সবুজ জলজ বিস্ফোরণ-মৃতের মুখোশ

 

কী অদ্ভুত এক অনুভূতির প্রবঞ্চনা

নৈরাজ্যের ভেতরে হারানো বৃক্ষের ছায়া খুঁজতে খুঁজতে

কান্ডজ্ঞানহীন উত্তাপে পুড়ে যায় প্রাচীন বনভূমি

বনভূমির চিৎকারে আমরা কেবলই জ্বলত থাকি

উদবাস্তু উভচরের অসহায় চোখ থেকে অবলীলায়

মৃত্যুর প্রাচীর ভেদ করে ঝরে পড়ে দুর্গত নিঃশ্বাস

মাটি আর মৃত্যুর খুব নৈকট্য জেনে একদিন

পাতাদের বধির বিস্মৃতির ভেতরে হারিয়ে যাওয়া

নদীর শাখা প্রশাখা কিংবা আগুনের কুন্ডলী ছেড়ে

একদল অন্ধ হরিণের প্রকম্পিত হৃদয় থেকে পালিয়ে আসে

পরিত্যক্ত ক্ষুধার্ত অরণ্যর শেকড়বাকড়

 

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           একপাল শুকর

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           হনুমানের দল

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           জলের কুমির

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           বিষাক্ত কালকেউটে

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           বিষণ্ন প্রজাপতি

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           লাল পিঁপড়ার সারি

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           বাওয়ালির কোমল চোখ

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           হরিণের কান্না

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           বাঘের করুণ হুঙ্কার

আমাদের দিকে তেড়ে আসে           হতভাগ্য ম্যানগ্রোভ

 

আর আমরা ক্রমশ তাড়া খেতে খেতে

নিজেদের ছায়া অতিক্রম করে আরো বহুদূর

ক্রমাগত ছুটে চলতে চলতে দিকশূন্যকাল পেরিয়ে যাচ্ছি

পায়ে পায়ে লতাগুল্মের মায়া আর ঘাসের তুচ্ছ জীবন থেকে

পালিয়ে আসে বহুরৈখিক ধ্যানের মৌমাছি নিঃসংকোচে শোনায় তীক্ষ্ম

বল্লমের অগ্রাহ্য নৃশংসতার শ্লোগান-অসংখ্য মৃত্যুর গন্ধে

ভারি হয়ে ওঠে বনেদী বৃক্ষের জীবনরেখা আজন্মের স্বপ্ন

খোলস থেকে বেরিয়ে উড়ে যায় বীভৎস এক

পুনরুত্থিত নগরের নির্বিকার সংবিধান 

 

নদীর করতলে বয়ে চলে পরিযায়ী পাখির ধূসর ডানা

ভেসে ভেসে স্রোতের বুকে বাজায় ঢেউয়ের স্বরবৃত্ত

তৃণভোজীর মৃত চামড়া উচ্ছিষ্ট আভিজাত্য বিভ্রান্ত

শিল্পকলায় সন্তর্পণে কেঁদে ওঠে নির্বাক রাতের গভীরে

নিখুঁত নির্মাণে শিকারীর লাল চোখে যখন জ্বলে ওঠে

বিগত শতাব্দীর ক্রোধের আগুন-অবাধ্য বাণিজ্যের

বহুমাত্রিক বৈষম্য নির্বিচারে ঢুকে পড়ে মধ্যবিত্ত অন্দরে

আর উচ্চমার্গের সঙ্গীতের মর্মজ্ঞানে আমরা খুঁজতে থাকি

প্রতিদিনের হারিয়ে যাওয়া নদীর শান্ত শীতল করতল

দৃশ্যমগ্ন বনের ছায়ায় সহস্র বছর ধরে বেড়ে ওঠা মায়াসূত্র

আমাদেরকে টেনে নিয়ে যায় আগুনের খন্ডিত চিতায়

আগুনের ভাষায় বিস্তীর্ণ পরিভ্রমণে জ্বলে ওঠে অনন্তকাল

অনিবার্য দহনে ক্ষতবিক্ষত বেঁচে থাকার কালাকানুন

 

কী সর্বনাশের পথ ধরে আমাদের চোখের ভেতরে

উদ্যম নেচে ওঠে মর্মান্তিক বেদনার ছলচাতুরী

হাতের মুঠোয় নিমগ্ন দুপুর দুমড়ে মুচড়ে একাকার

ইশারায় দ্বিখন্ডিত হরিণ বুনোশুকরের সংরক্ষিত অঞ্চল

তীরবর্তী বিচরণ ভূমি বিলীন হয়ে যায় রাষ্ট্রীয় প্রেসনোটে

এমন দুর্ভেদ্য আর নির্বিকার আয়ুখেকো সিদ্ধান্তনামা থেকে

মৃত্যুবধি যন্ত্রণায় কাতর একঝাঁক বুনোপাখির প্রলাপ

এমন অধিবিদ্যায় নিভৃতে কেঁদে ওঠে জলাশয়ের প্রাণ

শতায়ু শিরিষে জীবন কাটানো বিগত ঈগলের সংসার

এমন রুক্ষ আর লালচোখের বিষাক্ত ছোবলে জর্জরিত

বেদনার লোনামাটি-চিরায়ত উদ্ভিদের শেষ চিহ্ন

 

আহা লোনা মাটির পিপাসায় বাতাসের নিমগ্ন ধ্যানের

সলতে জ্বেলে দিকজয়ী নাবিকের চিৎকার ভেসে যায়

মাছ আর কুমিরের চোখে অনাগত জলজ বিস্ফোরণে

নদীর মায়া-সন্ত্রস্ত স্রোতের টানে বয়ে যায় সমুদ্র বিজ্ঞানে

দিকভ্রান্ত জাহাজের পাটাতন ভেঙে জলের শরীর ছুঁয়ে যায়

বিমর্ষ উজানের ধারাপাত-দুর্বৃত্তায়নের ভেতরে অনবরত

আক্রমণ প্রতিআক্রমণ বণিকের রক্তের মত কালো

আর দুর্গন্ধযুক্ত বাণিজ্যের হাড় মাংস ছিঁড়ে ডুবতে থাকে

বিষণœ সন্ধ্যার নদীচর-অবরুদ্ধ মাছের স্বল্পায়ু জীবন তেড়ে

এগিয়ে আসে বনেদী সঙ্গীতের অবিনাশী মর্মকথা

 

অসংলগ্ন মৃত্যুর উপত্যকায় হারিয়ে যায় নদীর বৈচিত্র্য

বেঁচে থাকা বৃক্ষের শেকড়বাকড় থেকে বেরিয়ে যায়

আদিম ইতিহাস-অসংখ্য প্রাণির উদ্বিগ্ন আয়ুর শেষ চিহ্ন

আমরা কেবলই জ্বলতে থাকি

আমরা কেবলই পুড়তে থাকি

আমরা কেবলই হারতে থাকি

বেদনার্ত সবুজের দুরারোগ্য দৃশ্যপাত-নিদ্রাহীন জলাভূমির কান্না

অন্ধকারের করতলে লিখে রাখি নির্জন ঘুমের কীর্তি...

 

 

Pages