বিশ্বাসের বনলতায় একা ময়ূরাক্ষী—হৃদয়মুখর অতলে বাঁচে
লোকান্তরে এত মানুষের চরাচর হৃদয় একা হাঁটে আঁধারে
ভেতরে পাখিদের আনাগোনা—ঘাসের নিবিড় নিঃশ্বাস
কী ব্যাকুল মরণের জোছনায় ঝুলে থাকো নির্বাক নিশাচর
আমারে বেঁধে রাখো পুষ্পের অন্তর্ধ্যানে—মুখরিত মরিচিকায়
দুরাশার দূরত্বে হৃদয়ে জমেছে কী প্রেমিকের মিথ্যা শিহরণ
ও মেঘ তুমি উড়ে যাও দূর দেশে ভাটির ভাসানে
যদি বলো ফিরে যাই এই নষ্ট ভোরের আলোহীন আঁধারে
তামাটে ত্বকের গন্ধ ছেড়ে যদি এবার পালাই মানুষের নরকে
কোথায় একাকী নিয়তি নিসর্গ—কোথায় পৌরাণিক প্রেম
আমার চোখেই হারিয়ে গেছে পাখিদের বিগত লেনদেন
পাখিদের চোখে ছিলো কী বৃষ্টির বিসর্জন—অনন্ত অভিযোগ
বর্ণহীন বিষাদের খাঁচা ছেড়ে উড়ে গেছে চিঠির চিৎকার
চোখের পাতায় এক বনেদি বিহার পেছনে ফেরেনি কোনদিন
শীতল বরফে অগচোরে রেখে গেছে আদি পাপের ফসলাদি
শাফি সমুদ্র